খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫, ৫ কার্তিক, ১৪৩২

অবশেষে খুলনা জেলা পরিষদের আলোচিত প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহবুবকে স্ট্যান্ড রিলিজ

ক্রাইম রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৫, ৯:৫৩ পূর্বাহ্ণ
অবশেষে খুলনা জেলা পরিষদের আলোচিত প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহবুবকে স্ট্যান্ড রিলিজ

বহুল আলোচিত, সমালোচিত খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহাবুবুর রহমানকে দুই দফায় বদলি করা হয়েছিল। তবে সেই বদলিকে তিনি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখান। বদলীকৃত কর্মস্থলে যোগদান না করে দু’বারই খুলনা জেলা পরিষদে থেকে দাপটের সঙ্গে সবকিছুই চালান। কর্মস্থলে দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে পরিণত করলেও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা ছিলেন অসহায়। তবে অবশেষে তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করার পর বদলির ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের জেলা পরিষদ শাখা খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম মাহবুবুর রহমানকে বদলির আদেশ জারি করেছে। অফিস আদেশে, এস এম মাহবুবুর রহমানকে খুলনা জেলা পরিষদ থেকে নেত্রকোনা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। তিনি ১৩ আগস্টের মধ্যে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। অন্যথায় ১৪ আগস্ট থেকে বর্তমান দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি বলে গণ্য হবেন।

এ আদেশ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীনের স্বাক্ষরে গত মঙ্গলবার জারি করা হয়। বুধবারই তাকে খুলনা জেলা পরিষদ থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তবে নির্ধারিত সময় অর্থাৎ বুধবার তার নতুন কর্মস্থলে যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এর আগে প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহাবুবুর রহমানকে ২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর বগুড়া জেলা পরিষদে বদলি করা হয়। কিন্তু তিনি বগুড়া জেলা পরিষদে যোগ না দিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে খুলনায় চাকরি করেন । এরপর তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ২০২৩ সালের ১১ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদে আবারও বদলি করে। কিন্তু সেখানে যোগ না দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ দেখিয়ে খুলনা জেলা পরিষদে বহাল তবিয়তে রয়ে যান।

জেলা পরিষদের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জানান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও শেখ পরিবারের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে ছত্রছায়ায় এস এম মাহবুবুর রহমান হয়ে ওঠেন দোর্দণ্ড প্রতাপশালী। সেইসঙ্গে পরিচিত ছিলেন জেলা পরিষদের অঘোষিত চেয়ারম্যান। দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হয়েও নিয়েছেন প্রথম শ্রেণির সুযোগ-সুবিধা। পরিষদে তার কথাই শেষ কথা। তার দাপটে অফিসের কর্মচারীরা সব সময়ই থাকেন তটস্থ ও বদলি আতঙ্কে।

একাধিক অভিযোগ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ম্যানেজ করে কোটি কোটি টাকা লোপাটই ছিল তার মূল লক্ষ্য। তার বিরুদ্ধে জেলা পরিষদের মালিকাধীন জায়গা খুলনা সদরের ডাকবাংলো, ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর বাজারের যতিন-কাশেম সড়ক ও ডাকবাংলো, আঠারমাইল, দাকোপ ও রূপসায় মার্কেট নির্মাণ করে কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকার বাণিজ্য করেছেন। অথচ জেলা পরিষদে জমা হয়েছে নামমাত্র অর্থ।

এছাড়া খেয়াঘাট ইজারায় অনিয়ম করে অন্তত কোটি টাকা লুফে নিয়েছেন। ভুতুড়ে প্রকল্প, গভীর নলকূপ ও প্রকল্প বিক্রি করে হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অঙ্কের অর্থ। বড় বড় প্রকল্প নেওয়ার পর তার স্বার্থ হাসিল হলেই বাস্তবায়নাধীন অবস্থায় ফেলে রাখেন। এটাই তার টাকা কামানের মেশিন বলেও অবহিত করেন অনেকে।

এছাড়া জেলা পরিষদের পেছনে কর্মচারীদের বহুতল আবাসিক ভবন চার থেকে পাঁচ বছর নিজে একাই দখল করে বসবাস ও পাখি পালন করেন। মোটরসাইকেলের নামে তেল তুলে সেই টাকা দিয়ে ব্যক্তিগত গাড়ির খরচ চালিয়েছেন। মোটকথা পরিষদে গড়ে তোলেন অনিয়ম-দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য।

তবে এসব অপকর্ম ঠেকাতে ঢাল হিসাবে অবৈধভাবে বের করেন একটি দৈনিক পত্রিকা। যার সম্পাদক ছিলেন তিনি নিজেই। কোনো সাংবাদিক তার অবৈধ কর্মকাণ্ড নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করলে তাকে নানাভাবে হয়রানি করতেন তিনি। ওই পত্রিকা প্রকাশনার খরচ দেখিয়ে তিনি জেলা পরিষদ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর কিছুদিন চুপচাপ থাকলেও পরবর্তীতে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় আবারো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তিনি। তার বিরুদ্ধে, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে বহু লিখিত অভিযোগ জানিয়েও কোনো প্রতিকার পায়নি ভুক্তভোগীরা। ভুয়া প্রকল্প তৈরি করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। সহকর্মীরা কথা না শুনলে মিথ্যা মামলা দিয়ে করেছেন হয়রানি।

তবে প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম মাহবুবুর রহমান এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। এ বিষয়ে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা বলেন, মন্ত্রণালয়ের বদলির আদেশ পাওয়ার পর বুধবার তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচিত সরকার ছাড়া ঋণের অর্থ দেবে না আইএমএফ

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:১৫ অপরাহ্ণ
নির্বাচিত সরকার ছাড়া ঋণের অর্থ দেবে না আইএমএফ

নির্বাচিত সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশকে ঋণের ষষ্ঠ কিস্তি দিচ্ছে না আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি জানিয়েছে, নতুন সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর সংস্কার কর্মসূচি অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি মিললেই কিস্তির অর্থ ছাড় করা হবে।

সম্প্রতি ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সভার ফাঁকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে এক বৈঠকে এই বার্তা দেয় আইএমএফ। গভর্নর জানান, চলতি ডিসেম্বরেই ঋণের কিস্তি ছাড় হওয়ার কথা থাকলেও নির্বাচনপূর্ব সময়ে আইএমএফ তা দিতে রাজি নয়।

প্রসঙ্গত, ষষ্ঠ কিস্তিতে আইএমএফ থেকে প্রায় ৮০ কোটি ডলার পাওয়ার কথা। তবে চলমান সংস্কার কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা এবং নতুন সরকারের নীতিগত অবস্থান স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত অর্থ ছাড়ে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

এবিষয়ে গভর্নর বলেন, ‘রিজার্ভ পরিস্থিতি ভালো, ডলার স্থিতিশীল। আইএমএফ-এর নীতিসহায়তা গুরুত্বপূর্ণ, তবে তাদের অর্থ ছাড়া দেশ চলবে।’

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আইএমএফ যদি কঠিন শর্ত আরোপ করে, বাংলাদেশ তা মানবে না। এখন দেশ আগের মতো সংকটে নেই।’

সংশ্লিষ্টদের মতে, নির্বাচনকে সামনে রেখে আইএমএফ এখন তাদের শর্ত বাস্তবায়নে চাপ তৈরি করছে। কারণ, নির্বাচনের আগে ঋণ না ছাড়ার অর্থ হলো—বাংলাদেশ শর্ত মানছে না—এমন একটি বার্তা বৈশ্বিক অঙ্গনে দেওয়া। নতুন সরকার এলে তাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়ে পরে ঋণ ছাড়তে চায় সংস্থাটি।

এর আগে ২০০১ সালেও নির্বাচন পূর্ব সময়ে আইএমএফ অনুরূপ চাপ প্রয়োগ করেছিল। এমনকি জ্বালানি ও মুদ্রানীতিতে কড়াকড়ি আরোপ করে ২০২২ সালে ঋণের শর্তে তেল ও গ্যাসের দামও বাড়াতে বাধ্য করেছিল সরকার। মুদ্রার অবমূল্যায়নের ফলেই দেশে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে যায়।

এদিকে, ঋণের ষষ্ঠ কিস্তির শর্ত পর্যালোচনায় ২৯ অক্টোবর আইএমএফ-এর একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা সফরে আসছে। দুই সপ্তাহ তারা সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবে। ফিরে গিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দাখিল করবে মূল্যায়ন প্রতিবেদন। কিস্তি ছাড়ে এই প্রতিবেদন হবে গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, বর্তমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩২১৪ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। রেমিট্যান্স ও রপ্তানিতে ইতিবাচক গতি রয়েছে, আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রিত। চলতি হিসাবেও ঘাটতি নেই।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপে আইএমএফ-এর কাছে সহায়তা চায় সরকার। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ, যা পরবর্তীতে ৫৫০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়। ইতোমধ্যে পাঁচ কিস্তিতে ৩৬০ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আরও ১-২ বছর থাকবে: ইকবাল করিম ভূঁইয়া

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:৫১ পূর্বাহ্ণ
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আরও ১-২ বছর থাকবে: ইকবাল করিম ভূঁইয়া

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) ইকবাল করিম ভূঁইয়া মনে করেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আরও এক থেকে দুই বছর ক্ষমতায় থাকবে। এরপরই বিএনপি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে পারে বলে তিনি পূর্বাভাস দিয়েছেন। তবে বিএনপি পুরো মেয়াদ টিকিয়ে রাখতে পারবে কি না, তা নির্ভর করবে ভারতের কৌশলগত অবস্থান এবং আওয়ামী লীগের পুনরুত্থান ও সংগঠিত হওয়ার সক্ষমতার ওপর।

তার মতে, যদি বিএনপি নিজেদের বিরুদ্ধে পরিচালিত সহিংসতা-বিরোধী আন্দোলন দমন করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আবারও ১/১১-এর মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

সোমবার নিজের ফেসবুকে প্রকাশিত ‘আগামী পাঁচ বছরে আমরা কোথায় যাচ্ছি?’ শিরোনামের ধারাবাহিক লেখার শেষ অংশে এসব মন্তব্য করেন তিনি।

ইকবাল করিম ভূঁইয়া আরও লেখেন, অদক্ষতা, আইনশৃঙ্খলার অবনতি কিংবা ছাত্রচাপের মুখে যদি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়, তাহলে নির্বাচন ছাড়াই অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে দুর্বল মন্ত্রীদের পরিবর্তন করে ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি করে ঐকমত্যের জাতীয় সরকার গঠনের সম্ভাবনাও রয়েছে।

তার ভাষায়, “যদি সংবিধান পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়, তবে আগামী পাঁচ বছর ব্যয় হবে গণপরিষদ নির্বাচন, নতুন সংবিধান প্রণয়ন ও গণভোটে।”

সাবেক সেনাপ্রধানের মতে, যাই ঘটুক না কেন, আগামী পাঁচ বছর বাংলাদেশকে কাটাতে হবে বিভ্রান্তি, অস্থিরতা, প্রতিবাদ, আন্দোলন, হরতাল-অবরোধ ও সহিংসতার মধ্য দিয়ে। এতে পঙ্গু অর্থনীতি আরও দুর্বল হবে, দরিদ্র জনগোষ্ঠী বিপদে পড়বে এবং সামাজিক-অর্থনৈতিক সূচকে দেশ ক্রমাগত পিছিয়ে পড়বে।

উঠতি বয়সীদের আকৃষ্ট করতেন তারা

আলোচিত পর্ন তারকা যুগল বান্দরবান থেকে গ্রেপ্তার

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫, ১:২৪ অপরাহ্ণ
আলোচিত পর্ন তারকা যুগল বান্দরবান থেকে গ্রেপ্তার

অনলাইনভিত্তিক পর্নোগ্রাফি কনটেন্ট তৈরি ও প্রচারের অভিযোগে দেশে আলোচিত এক বাংলাদেশি যুগলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সোমবার (২০ অক্টোবর) সিআইডির এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানানো হয়। গ্রেপ্তারকৃত ওই যুগল সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের ‘মডেল’ হিসেবে পরিচিত করালেও মূলত তারা আন্তর্জাতিক পর্ণ সাইটে নিয়মিত ভিডিও প্রকাশ করতেন। দেশের ভেতর থেকেই এসব কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছিল বলে নিশ্চিত করেছে সিআইডি।

গবেষণামূলক প্ল্যাটফর্ম “দ্য ডিসেন্ট” তাদের এক অনুসন্ধানে জানায়, ২০২৪ সালের মে মাস থেকে তারা পর্ন কনটেন্ট তৈরি ও অনলাইনে প্রকাশ শুরু করেন। এক বছরের মধ্যেই শতাধিক ভিডিও প্রকাশ করে তারা বিশালসংখ্যক দর্শক ও অনুসারী গড়ে তোলেন।

তাদের কর্মকাণ্ড শুধু একটি প্ল্যাটফর্মেই সীমাবদ্ধ ছিল না। ইউরোপ ও আমেরিকার জনপ্রিয় প্রাপ্তবয়স্ক ওয়েবসাইট ছাড়াও টেলিগ্রাম, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে প্রচার চালানো হতো।

টেলিগ্রামে তাদের পরিচালিত চ্যানেলে কয়েক হাজার সদস্য রয়েছে, যেখানে নিয়মিত ভিডিও লিংক ও আয়সংক্রান্ত তথ্য শেয়ার করা হতো।

অনুসন্ধানে আরও উঠে এসেছে, তরুণদের অর্থ উপার্জনের লোভ দেখিয়ে এই কনটেন্ট ইন্ডাস্ট্রিতে যুক্ত করার চেষ্টাও চলছিল। এমনকি কিছু পোস্টে ‘নতুন কনটেন্ট ক্রিয়েটর সংগ্রহ করুন, ইনসেনটিভ পান’ ধরনের প্রচারণাও চালানো হতো।

সিআইডি জানায়, তাদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।