খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫, ৫ কার্তিক, ১৪৩২

জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে সাড়ে ৫ বছর !

বাংলাদেশে বায়ুদূষণ নিয়ে ভয়াবহ তথ্য দিল একিউএলআই

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৫, ১২:০২ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশে বায়ুদূষণ নিয়ে ভয়াবহ তথ্য দিল একিউএলআই

বায়ুদূষণে ভারতের পরই রয়েছে বাংলাদেশ। আর মানবদেহের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই উপাদানের দূষণই এখন বাংলাদেশের মানুষের জীবনের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বায়ুদূষণের কারণে দেশের মানুষের গড় আয়ু থেকে হারিয়ে যাচ্ছে সাড়ে পাঁচটি বছর।

যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউট থেকে বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) প্রকাশিত এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স (একিউএলআই) ২০২৫ বার্ষিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমনই ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের বায়ুদূষণের মাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও দেশের নিজস্ব মানদণ্ডের চেয়ে বহু গুণ বেশি। দেশের ১৬ কোটি ৬৮ লাখ মানুষই এমন এলাকায় বাস করছে যেখানে বাতাস ডব্লিউএইচও-এর মানদণ্ডের তুলনায় মারাত্মকভাবে দূষিত। এমনকি দেশের সবচেয়ে কম দূষিত জেলা লালমনিরহাটেও ডব্লিউএইচও-এর মানদণ্ডের চেয়ে সাত গুণ বেশি দূষণ রয়েছে।

১৯৯৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সূক্ষ্ম ধূলিকণা (পিএম ২.৫) এর ঘনত্ব বেড়েছে ৬৬ শতাংশেরও বেশি। এর ফলে গড় আয়ু থেকে আরও ২ দশমিক ৪ বছর কমেছে।

একিউএলআই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বায়ুদূষণ প্রত্যেক বাংলাদেশির জীবন থেকে বছর কেড়ে নিচ্ছে। এর প্রভাব ধূমপান, অপুষ্টি কিংবা অস্বাস্থ্যকর পানি- সব মিলিয়ে যা হয়, তার চেয়েও বেশি।’

তুলনামূলকভাবে, ধূমপান গড় আয়ু কমায় মাত্র ২ বছর, আর শিশুপুষ্টি ও মাতৃপুষ্টির ঘাটতি কমায় ১ দশমিক ৪ বছর।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো জনবহুল এলাকা। ঢাকার মানুষের গড় আয়ু ডব্লিউএইচও-এর মানদণ্ডে পৌঁছালে প্রায় ৬ দশমিক ৯ বছর বেড়ে যেতে পারে। এমনকি দেশের জাতীয় মানদণ্ড ৩৫ মাইক্রোগ্রাম/ ঘনমিটার পূরণ হলেও ঢাকাবাসীর গড় আয়ু বাড়তে পারে অন্তত ৪ বছর।

গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও টাঙ্গাইলের মতো জেলাগুলোতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। এখানে ডব্লিউএইচও মানদণ্ডে পৌঁছাতে পারলে গড় আয়ু বাড়বে সাড়ে ৬ বছরেরও বেশি।

প্রতিবেদনটি বলছে, ভয়াবহ পরিস্থিতি সত্ত্বেও নীতি ও পদক্ষেপ এখনো খুবই দুর্বল। ঢাকার আশপাশের ইটভাটা দীর্ঘদিন ধরেই দূষণের প্রধান উৎস হলেও সেগুলো কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। অপরদিকে পুরোনো বাস-ট্রাক থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া ও শিল্পকারখানার অযাচিত নির্গমন দূষণকে আরও ঘনীভূত করছে।

শুধু দেশীয় উৎসই নয়, প্রতিবেশী দেশ থেকে মৌসুমি ধোঁয়াশাও যুক্ত হচ্ছে। অথচ এ বিষয়ে আঞ্চলিক সহযোগিতা খুবই সীমিত। পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোরও প্রয়োজনীয় জনবল ও রাজনৈতিক ক্ষমতা নেই, যার ফলে আইন থাকলেও তার বাস্তবায়ন দুর্লভ।

একিউএলআই বলছে, এটি কেবল নিয়ন্ত্রণহীনতার ব্যর্থতা নয়, বরং ‘একটি চলমান জনস্বাস্থ্য বিপর্যয়।’

নির্বাচিত সরকার ছাড়া ঋণের অর্থ দেবে না আইএমএফ

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:১৫ অপরাহ্ণ
নির্বাচিত সরকার ছাড়া ঋণের অর্থ দেবে না আইএমএফ

নির্বাচিত সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশকে ঋণের ষষ্ঠ কিস্তি দিচ্ছে না আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি জানিয়েছে, নতুন সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর সংস্কার কর্মসূচি অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি মিললেই কিস্তির অর্থ ছাড় করা হবে।

সম্প্রতি ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সভার ফাঁকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে এক বৈঠকে এই বার্তা দেয় আইএমএফ। গভর্নর জানান, চলতি ডিসেম্বরেই ঋণের কিস্তি ছাড় হওয়ার কথা থাকলেও নির্বাচনপূর্ব সময়ে আইএমএফ তা দিতে রাজি নয়।

প্রসঙ্গত, ষষ্ঠ কিস্তিতে আইএমএফ থেকে প্রায় ৮০ কোটি ডলার পাওয়ার কথা। তবে চলমান সংস্কার কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা এবং নতুন সরকারের নীতিগত অবস্থান স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত অর্থ ছাড়ে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

এবিষয়ে গভর্নর বলেন, ‘রিজার্ভ পরিস্থিতি ভালো, ডলার স্থিতিশীল। আইএমএফ-এর নীতিসহায়তা গুরুত্বপূর্ণ, তবে তাদের অর্থ ছাড়া দেশ চলবে।’

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আইএমএফ যদি কঠিন শর্ত আরোপ করে, বাংলাদেশ তা মানবে না। এখন দেশ আগের মতো সংকটে নেই।’

সংশ্লিষ্টদের মতে, নির্বাচনকে সামনে রেখে আইএমএফ এখন তাদের শর্ত বাস্তবায়নে চাপ তৈরি করছে। কারণ, নির্বাচনের আগে ঋণ না ছাড়ার অর্থ হলো—বাংলাদেশ শর্ত মানছে না—এমন একটি বার্তা বৈশ্বিক অঙ্গনে দেওয়া। নতুন সরকার এলে তাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়ে পরে ঋণ ছাড়তে চায় সংস্থাটি।

এর আগে ২০০১ সালেও নির্বাচন পূর্ব সময়ে আইএমএফ অনুরূপ চাপ প্রয়োগ করেছিল। এমনকি জ্বালানি ও মুদ্রানীতিতে কড়াকড়ি আরোপ করে ২০২২ সালে ঋণের শর্তে তেল ও গ্যাসের দামও বাড়াতে বাধ্য করেছিল সরকার। মুদ্রার অবমূল্যায়নের ফলেই দেশে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে যায়।

এদিকে, ঋণের ষষ্ঠ কিস্তির শর্ত পর্যালোচনায় ২৯ অক্টোবর আইএমএফ-এর একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা সফরে আসছে। দুই সপ্তাহ তারা সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবে। ফিরে গিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দাখিল করবে মূল্যায়ন প্রতিবেদন। কিস্তি ছাড়ে এই প্রতিবেদন হবে গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, বর্তমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩২১৪ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। রেমিট্যান্স ও রপ্তানিতে ইতিবাচক গতি রয়েছে, আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রিত। চলতি হিসাবেও ঘাটতি নেই।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপে আইএমএফ-এর কাছে সহায়তা চায় সরকার। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ, যা পরবর্তীতে ৫৫০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়। ইতোমধ্যে পাঁচ কিস্তিতে ৩৬০ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আরও ১-২ বছর থাকবে: ইকবাল করিম ভূঁইয়া

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:৫১ পূর্বাহ্ণ
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আরও ১-২ বছর থাকবে: ইকবাল করিম ভূঁইয়া

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) ইকবাল করিম ভূঁইয়া মনে করেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আরও এক থেকে দুই বছর ক্ষমতায় থাকবে। এরপরই বিএনপি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে পারে বলে তিনি পূর্বাভাস দিয়েছেন। তবে বিএনপি পুরো মেয়াদ টিকিয়ে রাখতে পারবে কি না, তা নির্ভর করবে ভারতের কৌশলগত অবস্থান এবং আওয়ামী লীগের পুনরুত্থান ও সংগঠিত হওয়ার সক্ষমতার ওপর।

তার মতে, যদি বিএনপি নিজেদের বিরুদ্ধে পরিচালিত সহিংসতা-বিরোধী আন্দোলন দমন করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আবারও ১/১১-এর মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

সোমবার নিজের ফেসবুকে প্রকাশিত ‘আগামী পাঁচ বছরে আমরা কোথায় যাচ্ছি?’ শিরোনামের ধারাবাহিক লেখার শেষ অংশে এসব মন্তব্য করেন তিনি।

ইকবাল করিম ভূঁইয়া আরও লেখেন, অদক্ষতা, আইনশৃঙ্খলার অবনতি কিংবা ছাত্রচাপের মুখে যদি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়, তাহলে নির্বাচন ছাড়াই অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে দুর্বল মন্ত্রীদের পরিবর্তন করে ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি করে ঐকমত্যের জাতীয় সরকার গঠনের সম্ভাবনাও রয়েছে।

তার ভাষায়, “যদি সংবিধান পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়, তবে আগামী পাঁচ বছর ব্যয় হবে গণপরিষদ নির্বাচন, নতুন সংবিধান প্রণয়ন ও গণভোটে।”

সাবেক সেনাপ্রধানের মতে, যাই ঘটুক না কেন, আগামী পাঁচ বছর বাংলাদেশকে কাটাতে হবে বিভ্রান্তি, অস্থিরতা, প্রতিবাদ, আন্দোলন, হরতাল-অবরোধ ও সহিংসতার মধ্য দিয়ে। এতে পঙ্গু অর্থনীতি আরও দুর্বল হবে, দরিদ্র জনগোষ্ঠী বিপদে পড়বে এবং সামাজিক-অর্থনৈতিক সূচকে দেশ ক্রমাগত পিছিয়ে পড়বে।

উঠতি বয়সীদের আকৃষ্ট করতেন তারা

আলোচিত পর্ন তারকা যুগল বান্দরবান থেকে গ্রেপ্তার

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫, ১:২৪ অপরাহ্ণ
আলোচিত পর্ন তারকা যুগল বান্দরবান থেকে গ্রেপ্তার

অনলাইনভিত্তিক পর্নোগ্রাফি কনটেন্ট তৈরি ও প্রচারের অভিযোগে দেশে আলোচিত এক বাংলাদেশি যুগলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সোমবার (২০ অক্টোবর) সিআইডির এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানানো হয়। গ্রেপ্তারকৃত ওই যুগল সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের ‘মডেল’ হিসেবে পরিচিত করালেও মূলত তারা আন্তর্জাতিক পর্ণ সাইটে নিয়মিত ভিডিও প্রকাশ করতেন। দেশের ভেতর থেকেই এসব কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছিল বলে নিশ্চিত করেছে সিআইডি।

গবেষণামূলক প্ল্যাটফর্ম “দ্য ডিসেন্ট” তাদের এক অনুসন্ধানে জানায়, ২০২৪ সালের মে মাস থেকে তারা পর্ন কনটেন্ট তৈরি ও অনলাইনে প্রকাশ শুরু করেন। এক বছরের মধ্যেই শতাধিক ভিডিও প্রকাশ করে তারা বিশালসংখ্যক দর্শক ও অনুসারী গড়ে তোলেন।

তাদের কর্মকাণ্ড শুধু একটি প্ল্যাটফর্মেই সীমাবদ্ধ ছিল না। ইউরোপ ও আমেরিকার জনপ্রিয় প্রাপ্তবয়স্ক ওয়েবসাইট ছাড়াও টেলিগ্রাম, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে প্রচার চালানো হতো।

টেলিগ্রামে তাদের পরিচালিত চ্যানেলে কয়েক হাজার সদস্য রয়েছে, যেখানে নিয়মিত ভিডিও লিংক ও আয়সংক্রান্ত তথ্য শেয়ার করা হতো।

অনুসন্ধানে আরও উঠে এসেছে, তরুণদের অর্থ উপার্জনের লোভ দেখিয়ে এই কনটেন্ট ইন্ডাস্ট্রিতে যুক্ত করার চেষ্টাও চলছিল। এমনকি কিছু পোস্টে ‘নতুন কনটেন্ট ক্রিয়েটর সংগ্রহ করুন, ইনসেনটিভ পান’ ধরনের প্রচারণাও চালানো হতো।

সিআইডি জানায়, তাদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।